স্বধেশ ডেস্ক:
দশম পণ্য হিসেবে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ পেয়েছে বাগদা চিংড়ি। এর ফলে অন্য কোনো দেশ বাগদা চিংড়িকে আর তাদের পণ্য বলে পরিচয় দিতে পারবে না। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার ও অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার আজ বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘স্বীকৃতির বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত হয়েই ছিল। কোনো দেশ এ বিষয়ে আর আপত্তি করেনি। তাই বাগদা চিংড়ি এখন বাংলাদেশের। আমরা এটি মৎস্য অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
জনেন্দ্র নাথ সরকারের স্বাক্ষর করা স্বীকৃতি সনদে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যায়ন করা যাচ্ছে, ভৌগোলিক নির্দেশক নিবন্ধন বইতে মৎস্য অধিদপ্তরের নামে ২৯ ও ৩১ শ্রেণিতে জিআই-১১ নম্বরে বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি পণ্যের জন্য ৪ জুলাই ২০১৯ থেকে নিবন্ধিত হলো।’
জানা গেছে, বাগদা চিংড়ির জিআই সনদ পেতে আবেদন করেছিল বাংলাদেশ। গত বছরের ৬ অক্টোবর গেজেট এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে বিষয়টি প্রকাশ করে ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস বিভাগ। নিয়ম অনুযায়ী, জার্নালে প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে কেউ আপত্তি না করলে সেই পণ্যের জিআই সনদ পেতে আর কোনো বাধা থাকে না।
গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ছিল এ বিষয়ে আপত্তি দেওয়ার শেষ দিন। ওই সময়ের মধ্যে অন্য কোনো দেশ ওই আবেদনে আপত্তি করেনি, ফলে বাগদা চিংড়ির একক স্বত্ব এখন শুধুই বাংলাদেশের।